সভ্যতার ক্রমবিকাশের সাথে সাথে ব্যবসা-বাণিজ্যের কর্মকান্ড বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে ব্যাংক ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তাও দিন দিন বেড়েই চলছে। ফলে একজন গ্রাহক ব্যাংকে হিসাব খোলার মাধ্যমে যেমন আর্থিক সুবিধা পায়, তেমনি ব্যাংক আমানতকারীর অর্থ বিনিয়োগ করে মুনাফা অর্জন করে। বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে ব্যাংক হিসাবের গুরুত্ব তুলে ধরা হলো—
গ্রাহকের জন্য (For clients )
• আমানতকারীর অর্থ ও মূল্যবান দ্রব্যাদি নিরাপদে সংরক্ষণ করা ব্যাংক হিসাবের গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য ।
• ব্যবসায়ীগণ ব্যাংকে হিসাব খোলার মাধ্যমে চেক, ড্রাফট, বিল বাট্টাকরণ ইত্যাদির মাধ্যমে সুষ্ঠুভাবে আর্থিক লেনদেন সম্পাদন করতে পারে।
• চলতি ও স্থায়ী হিসাবের গ্রাহকদের ব্যাংক ঋণ সুবিধা প্রদান করে ।
• ব্যাংক হিসাব খোলার মাধ্যমে গ্রাহক দেশের অভ্যন্তরে ও বিদেশে নিরাপদে অর্থ স্থানান্তর করতে পারে।
• গ্রাহক ব্যাংকের আধুনিকায়নের নীতি যেমন : ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, অনলাইন ব্যাংকিং সেবাসহ বিভিন্ন ধরনের সেবা ভোগ করতে পারে।
• নগদ অর্থ হাতে থাকলে তা খরচ করার সম্ভাবনা থাকে। ব্যাংকে হিসাব খুলে অর্থ জমা রাখলে তা গ্রাহককে মিতব্যয়ী হতে সহায়তা করে।
• সঞ্চয়ী ও স্থায়ী হিসাবের গ্রাহক তার জমাকৃত অর্থের ওপর মুনাফা পেয়ে থাকে, যা গ্রাহককে সঞ্চয়ী হতে উদ্বুদ্ধ করে। নগদ অর্থ বহন ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেন করায় গ্রাহকের ঝুঁকি হ্রাস পায়।
ব্যাংকের জন্য (For bank )
• ব্যাংক তার তহবিল গঠনের জন্য বিভিন্ন হিসাবের মাধ্যমে জনগণের সঞ্চিত অর্থ আমানত হিসেবে গ্রহণ করে।
• আমানতকারীর সংগৃহীত অর্থ লাভজনক খাতে বিনিয়োগের মাধ্যমে ব্যাংক মুনাফা অর্জন করে। ব্যাংক ঋণ আমানত সৃষ্টি করে জনগণকে সঞ্চয়ে উদ্বুদ্ধ করে।
• গ্রাহককে বিভিন্ন ধরনের সেবা প্রদানের বিনিময়ে ব্যাংক সার্ভিস চার্জ আদায় করে।
জাতীয় অর্থনীতির জন্য (For national economy)
• মূলধন গঠন একটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পূর্বশর্ত। ব্যাংক জনগণের ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা সঞ্চয়গুলোকে একত্র করে মূলধন গঠনে সহায়তা করে ।
• সংগৃহীত আমানতকে লাভজনক খাতে বিনিয়োগের মাধ্যমে দেশের উৎপাদনের চাকাকে গতিশীল রাখে।
• বৈদেশিক বাণিজ্যও ব্যাংক নির্ভর। আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে উন্নতি করতে ব্যাংক হিসাব গুরুত্বপূর্ণ।
• ব্যাংকে যত বেশি হিসাব খোলা হবে তত বেশি সঞ্চয় বৃদ্ধি পাবে। ফলে সকলের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি হবে।
পরিশেষে বলা যায়, ব্যাংক হিসাবে দ্বারা আমানতকারীর অর্থের নিরাপত্তা নিশ্চিত হওয়ার পাশাপাশি ব্যাংকও উপকৃত হয়। ব্যাংক হিসাব একজন অর্থ উপার্জনকারী ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা সংস্থার জন্য অত্যাবশ্যক ও অপরিহার্য।
ব্যাংক হিসাব কীভাবে সঞ্চয় সৃষ্টিতে সহায়তা করে?ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে অর্থ জমা রাখলে ব্যাংক গ্রাহককে নির্দিষ্ট পরিমাণ সুদ দেয়। অপরদিকে, গ্রাহকের অর্থের নিরাপত্তাও দিয়ে থাকে। ফলে গ্রাহক ব্যাংকে অর্থ সঞ্চয় করতে আগ্রহী হয়। তাই বলা যায়, ব্যাংক হিসাব সঞ্চয় সৃষ্টিতে সহায়ক। |
জেনে রাখো ব্যাংকে হিসাব খোলার পদ্ধতি- ব্যাংক হিসাব হলো আমানতকারীর Identification নম্বর, যার মাধ্যমে টাকা জমা ও উত্তোলন করা হয়। আমানতকারী ও ব্যাংকের মধ্যে যোগাযোগ এবং লেনদেনের মাধ্যমই ব্যাংক হিসাব। ব্যাংক মূলত তিন প্রকার হিসাব খোলার ব্যবস্থা করে থাকে। যথা: ক. চলতি হিসাব (Current Account); খ. সঞ্চয়ী হিসাব (Savings Account) এবং গ. স্থায়ী হিসাব (Fixed Account)। উক্ত হিসাবসমূহ খোলার জন্য প্রতিটি ব্যাংকে তিন রঙের আবেদনপত্র বা ফর্ম রয়েছে। ব্যাংকের নির্দেশিত নিয়ম-কানুন মেনে হিসাব খুলতে হয় । |
---|
ব্যাংকে চলতি ও সঞ্চয়ী হিসাব খোলার পদ্ধতি প্রায় একই ধরনের। শুধু আবেদনপত্রের রং-এর ভিন্নতা ছাড়া কোনো পার্থক্য নেই। তাই এই দুটি বিষয়কে একই সাথে আলোচনা করা হলো-
১. আবেদনপত্র সংগ্রহ (Collection of application form) : চলতি বা সঞ্চয়ী হিসাব খোলার জন্য আগ্রহী ব্যক্তিকে তার পছন্দ মোতাবেক ব্যাংকের শাখায় উপস্থিত হয়ে বা প্রতিনিধির মাধ্যমে আবেদনপত্র সংগ্রহ করতে হবে। আবেদনপত্র বন্টনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা চলতি বা সঞ্চয়ী হিসাব খোলার নির্ধারিত আবেদনপত্র প্রদান করেন। এর সাথে তিনি দস্তখতের নমুনা কার্ড প্রদান করেন এবং কীভাবে আবেদনপত্র ও দস্তখত কার্ড পূরণ করা হবে তাও বলে দেন।
২. আবেদনপত্র পূরণ (Filling up the application form) : আবেদনপত্রে কয়েকটি অংশ থাকে। ঘষামাজা বা কাটাছেঁড়া আবেদনপত্র গ্রহণযোগ্য নয়। আবেদনপত্রের অংশগুলো সাধারণত নিম্নরূপ তথ্যাদি দ্বারা পূরণ করতে হয়-
i. আবেদনকারীর বিবরণ (Applicant details) : এই অংশ আবেদনকারীর নাম, পিতা বা স্বামীর নাম, জাতীয়তা, পেশা, বয়স, বর্তমান এবং স্থায়ী ঠিকানা সংক্রান্ত তথ্যাদি দ্বারা পূরণ করতে হয়। বর্তমানে জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর এবং টিন (TIN) নম্বর দেওয়া বাধ্যতামূলক। এগুলোর কপিও সংযুক্ত করতে হয়।
ii. পরিচয়দানকারীর বিবরণ (Identifier's details) : আবেদনকারীকে উক্ত ব্যাংকে পূর্ব থেকেই হিসাব রয়েছে এরূপ একজন ব্যক্তি দ্বারা সনাক্ত করার দরকার হয়। এই অংশে সনাক্তকারী ব্যক্তিকে তার নাম, ঠিকানা, স্বাক্ষর এবং তার হিসাব নম্বর উল্লেখ করতে হয়। পরিচয়ের মূল উদ্দেশ্য হলো আবেদনকারী ব্যক্তি এই লোকই কি না তা নিশ্চিত হওয়া। পরিচয়দানকারী পাওয়া না গেলে ব্যাংকের কর্মকর্তা এ ব্যাপারে সাহায্য করেন।
iii. মনোনীত ব্যক্তি বা নমিনীর পরিচয় (Nominated person's or nominee's identity) : এই অংশে আবেদনকারীকে তার পরিচিত নমিনী ব্যক্তির নাম, ঠিকানা, বয়স সংক্রান্ত তথ্যাদি সংযুক্ত করতে হয়। আমানতকারীর মৃত্যুর পর এই মনোনীত ব্যক্তি হিসাবের সব টাকা পেয়ে থাকে। বর্তমানে ব্যাংকগুলো আবেদনপত্রে মনোনীত ব্যক্তির ছবি সংযুক্ত করার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। আমাদের দেশের সাধারণ ও ইসলামী উভয় ধরনের ব্যাংকের প্রচলন রয়েছে। উভয় ক্ষেত্রেই নমিনীর প্রয়োজন রয়েছে ।
iv. স্বাক্ষর (Signature ) : আবেদনপত্রের নির্ধারিত স্থানে আবেদনকারীকে স্বাক্ষর প্রদান করতে হয়। যৌথ নামে হিসাব খোলার ক্ষেত্রে নির্ধারিত স্থানে প্রত্যেককেই স্বাক্ষর দিতে হয়।
v. ছবি (Picture ) : আবেদনপত্রের সাথে আবেদনকারীকে দুই কপি (পাসপোর্ট সাইজ) সত্যায়িত ছবি সংযুক্ত করতে হয়, যা পরিচয়দানকারী সত্যায়িত করে থাকে।
৩. নমুনা স্বাক্ষর কার্ড পূরণ (Filling up the specimen signature card) : এরপর সতর্কতার সাথে নমুনা স্বাক্ষর কার্ড পূরণ করতে হয়। এই কার্ডের নির্দিষ্ট স্থানে তাকে নিজ নাম তিনবার লিখতে হয় এবং তিনটি স্বাক্ষর দিতে হয়। বর্তমানে ব্যাংক এই কার্ড কম্পিউটারে স্ক্যান করে সংরক্ষণ করে। টাকা উত্তোলনের সময় ব্যাংক কর্মকর্তা গ্রাহকের চেকের স্বাক্ষরের সাথে নমুনা স্বাক্ষর মিললে টাকা প্রদান করে।
৪. প্রয়োজনীয় দলিলপত্রাদি সংযোজন (Attaching necessary documents) : আবেদনকারী ব্যক্তি হলে তার ছবি, জাতীয় পরিচয়পত্র ও টিন (TIN) নম্বর ইত্যাদির দলিলপত্রাদি আবেদনপত্রের সাথে সংযুক্ত করতে হয়। কিন্তু প্রতিষ্ঠানের নামে হিসাব খোলার ক্ষেত্রে নিচের দলিলপত্রাদি আবেদনপত্রের সাথে সংযুক্ত করতে হয়-
ক. একমালিকানা ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে (In case of sole proprietorship business ) : হিসাব পরিচালনাকারীর নাম ও স্বাক্ষর, ট্রেড লাইসেন্স, জাতীয় পরিচয়পত্র ও আয়কর সনাক্তকরণ নম্বর (TIN) অবশ্যই জমা দিতে হবে।
খ. অংশীদারী ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে (In case of partnership business) : অংশীদারী ব্যবসায়ের চুক্তিপত্র, ট্রেড লাইসেন্স, হিসাব পরিচালনাকারী ব্যক্তির নাম ও স্বাক্ষর এবং এ সম্পর্কিত অংশীদারদের সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তের কপি, জাতীয় পরিচয়পত্র ও আয়কর সনাক্তকরণ নম্বর (TIN) অবশ্যই জমা দিতে হবে।
গ. কোম্পানির ক্ষেত্রে (In case of company ) : স্মারকলিপি, পরিমেল নিয়মাবলি, কার্যারম্ভের অনুমতিপত্র, নিবন্ধনপত্র, হিসাব পরিচালনাকারী ব্যক্তির নাম ও স্বাক্ষর এবং কোম্পানির সভায় এ সম্পর্কিত সিদ্ধান্তের কপি, জাতীয় পরিচয়পত্র ও আয়কর সনাক্তকরণ নম্বর (TIN) অবশ্যই জমা দিতে হবে।
ঘ. সমবায় সমিতির ক্ষেত্রে (In case of co-operative society) : ট্রেড লাইসেন্স, নিবন্ধনপত্র, উপ- বিধি, হিসাব পরিচালনাকারী ব্যক্তির নাম ও স্বাক্ষর এবং সমিতির সভায় এ সম্পর্কিত সিদ্ধান্তের কপি, এগুলো অবশ্যই জমা দিতে হবে।
ঙ. স্কুল, কলেজ, ক্লাব সমিতি এবং সামাজিক সংগঠনের ক্ষেত্রে (In case of school, college, club and social organisation) : হিসাব পরিচালনাকারী ব্যক্তির নাম ও স্বাক্ষর এবং পরিচালনা কমিটি বা কার্যনির্বাহী পরিষদের সভায় এ সম্পর্কিত সিদ্ধান্তের কপি জমা দিতে হবে। উল্লেখ্য যে, ক্লাব বা সামাজিক সংগঠনের বেলায় সঞ্চয়ী হিসাব খোলা গেলেও ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের বেলায় সঞ্চয়ী হিসাব খোলা যায় না, চলতি হিসাব খুলতে হয়। তবে ইদানিং ব্যাংকগুলো তাদেরকে Short Notice Deposit (SND) হিসাব খোলার সুযোগ দিয়ে থাকে।
৫. আবেদনপত্র জমাদান (Submission of application form) : এই পর্যায়ে আবেদনকারীকে পূরণকৃত আবেদনপত্র, নমুনা স্বাক্ষর কার্ড এবং প্রয়োজনীয় দলিলসমূহ হিসাব খোলার দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তার নিকট জমা দিতে হয়। পূরণকৃত ফরম এবং সংযুক্ত সব তথ্যাদিতে সন্তুষ্ট হলে তিনি একটি হিসাব নম্বর নির্ধারণ করে তা আবেদনপত্র এবং নমুনা স্বাক্ষর কার্ডের নির্দিষ্ট স্থানে লিপিবদ্ধ করেন। অতঃপর ম্যানেজার আবেদনপত্রে স্বাক্ষর করেন এবং এর সাথে সাথেই আবেদনকারী হিসাব খোলার অনুমতি প্রাপ্ত হয়।
উল্লেখ্য যে, হিসাব খোলার আগে ব্যাংক আবেদনকারীর সব তথ্য যাচাই করে। একে Know Your Customer (KYC) বলা হয়। এছাড়া ব্যাংক গ্রাহকের Transaction Profile (TP) নিশ্চিত করবে। এটি হচ্ছে ব্যাংক হিসাবে গ্রাহক কর্তৃক ঘোষিত লেনদেনের অনুমিত মাত্রা। প্রতিনিয়ত লেনদেন হওয়া হিসাবগুলোর (সঞ্চয়ী, চলতি, এসএনডি, সিসি, ওডি ইত্যাদি) ক্ষেত্রেই গ্রাহকের কাছ থেকে টিপির ঘোষণা নিতে হয়।
৬. জমার রসিদ সংগ্রহ এবং প্রাথমিক আমানত জমা (Collecting deposit receipt and depositing primary credit): হিসাব খোলার অনুমতি পত্র পাওয়ার পরই আবেদনকারী টাকা জমা দেওয়ার রসিদ সংগ্রহ করে তা পূরণ করে প্রাথমিক জমা তার নামে বরাদ্দকৃত হিসাবে জমা দেয়। প্রাথমিক জমা একেক ব্যাংকে একেক রকম। প্রায় সব ব্যাংকই ন্যূনতম ৫০০ টাকা প্রাথমিক জমা হিসেবে নিয়ে থাকে।
৭. চেক প্রদান (Providing cheque book) : প্রাথমিক আমানত ব্যাংকে জমা দেওয়ার পর ব্যাংক আমানতকারীকে টাকা উঠানোর সুবিধার জন্য চেক বই এবং টাকা জমা ও উঠানোর হিসাব সংরক্ষণের জন্য পাস বই প্রদান করে থাকে।
অতএব, উপর্যুক্ত প্রক্রিয়ায় চলতি ও সঞ্চয়ী হিসাব খোলার কার্যক্রম সমাপ্ত হয় এবং আমানতকারী ব্যাংকের গ্রাহকে পরিণত হয়।
যাদের হাতে প্রচুর অর্থ রয়েছে কিন্তু তা ব্যবসায়ে বিনিয়োগে শঙ্কায় থাকে, তাদের জন্য স্থায়ী হিসাব সবচেয়ে উপযোগী। কীভাবে স্থায়ী হিসাব খোলা হয় তার পদ্ধতি নিচে তুলে ধরা হলো-
১. আবেদনপত্র সংগ্রহ (Collection of application form) : স্থায়ী হিসাব খোলার জন্য নির্বাচিত শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছ থেকে নির্ধারিত আবেদনপত্র সংগ্রহ করতে হয়।
২. আবেদনপত্র পূরণ (Filling up the application form) : আবেদনের নির্ধারিত স্থানে নাম, পিতা বা স্বামীর নাম, ঠিকানা, পেশা, জাতীয়তা, আমানতের পরিমাণ, কাঙ্খিত মেয়াদ ইত্যাদি তথ্য লিপিবদ্ধ করে স্বাক্ষর দিতে হয়। প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে আবেদনপত্রের সাথে প্রয়োজনীয় দলিল ও কাগজপত্র জমা দিতে হয়।
৩. আবেদনপত্র জমা (Submission of application form): পূরণকৃত আবেদনপত্র দায়িত্ব-প্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে জমা দিতে হয়। আবেদনপত্রের সাথে KYC ফরমটিও জমা দিতে হয়।
৪. অনুমতি এবং জমার রসিদ সংগ্রহ (Depositing money and collecting fixed deposit receipt) : দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পূরণকৃত ফরম ও সাথে সংযুক্ত সব তথ্যে সন্তুষ্ট হলে হিসাব খোলার অনুমতি প্রদান করেন। অতঃপর আবেদনপত্রে উল্লিখিত অর্থ গ্রহণের জন্য একটি রসিদ প্রদান করেন।
৫. অর্থ গ্রহণ এবং স্থায়ী জমার রসিদ প্রদান (Receiving money & return the fixed deposit receipt) : এই পর্যায়ে পূরণকৃত টাকা জমার রসিদটি নির্ধারিত অর্থসহ দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গ্রহণ করে রসিদে একটি নম্বর প্রদান করেন। তারপর তা স্থায়ী হিসাব রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করেন। অতঃপর নম্বরযুক্ত স্থায়ী জমা রসিদটি (FDR) আমানতকারীকে হস্তান্তর করেন। এই রসিদে টাকার পরিমাণ, জমার মেয়াদ, সুদের হার, জমাকারীর নাম, ঠিকানা, স্বাক্ষরসহ অন্যান্য নিয়মকানুন লিপিবদ্ধ থাকে। আমানতকারী এ রসিদ মেয়াদ শেষে ব্যাংকে উপস্থাপন করলে ব্যাংক সুদ বা মুনাফাসহ সব অর্থ প্রদান করে ।
Read more